বগুড়া সদর থানার ওসি আবুল বাশার জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বগুড়া বাইপাস সড়কের বেলাইল এলাকায় ওই ট্রাকে হামলা হয়। এ সময় রাস্তার পাশে একটি মোটর ওয়ার্কশপে থাকা দুটি বাসও পুড়ে যায়।
নিহতরা হলেন- ওই ট্রাকে থাকা পান ব্যবসায়ী শহীদুল সরকার (৪০) ও ট্রাক চালকের সহকারী ইমরান হোসেন পলাশ (৩২)।
ট্রাক চালক মামুনুর রশীদও (৩৫) এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝিনাইদহ থেকে পান নিয়ে দিনাজপুরে যাওয়ার পথে ভোর পৌনে ৫টার দিকে বেলাইল এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশন ও ওয়ার্কশপের সামনে অবরোধকারীদের হামলার শিকার হয়।
ট্রাক লক্ষ্য করে ককটেল ও পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ট্রাকটি পাশের একটি ওয়ার্কশেপে থাকা দুটি বাসের ওপর গিয়ে পড়ে।
এতে বোমার আগুন ছড়িয়ে তিনটি বাহনই পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায় বলে বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান।
তিনি বলেন, আহতদের বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই পান ব্যবসায়ী শহীদুলের মৃত্যু হয়।
চালকের সহকারী পলাশকে ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা হলেও পথে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
ওই ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। মহাসড়কের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে।
প্রায় এক মাসের অবরোধে নাশকতার এসব ঘটনায় এরইমধ্যে অর্ধ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।