৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
বুধবার রাতে উপজেলার ছোনাব এলাকায় বোমা বানাতে গিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১ নেতা নিহত ও ৪ কর্মী গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। আহতদের রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালসহ স্থানীয়ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মিয়ার নিয়ন্ত্রনাধীন একটি ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত ২টার দিকে ভুলতা ইউনিয়নের ছোনাব এলাকার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা শাহিন মিয়ার ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর সময় তা বিস্ফোরনের হয়ে রকমতউল্যাহ ২০) নামে এক ছাএলীগ নেতা নিহত হয় ও এই সময় শাহীন মিয়া, কবিরসহ ৪ জন গুরুতর হয়েছে।
খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাড়ি ঘটনায়’লে গিয়ে তাদেও উদ্ব্যার করে হাসপাতালে পাঠায়।এই সময় আহত বোমাবাজদেও গ্রেফতার না কওে, জামায় আদওে হাসপাতালে পাঠালে স্থানীয়দেও মাঝে উক্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।জানা যায় নিহত বোমাবাজ রকমতউল্যাহকে (২৭ উপজেলার ছোনাব এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে।
ঘটনার পর থেকেই আহতদের পরিবারের লোকজন এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। ওরা ছাত্রদলের নেতা। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন ভূইয়া বলেন, ওরা ছাত্রলীগের কর্মী নয়। কাগজে-পত্রে ওদের নাম নেই। অপরদিকে, থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করেছে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টা করছে। এলাকার জনগণ বলেন,এই সব ছেলেরা ছাএলীগের নেতা সজিব ও সোহেলের সাথে চলাচল করত।তাদেও নাম ব্যাবহার কওে এমন কোন অপকর্ম নাই যে তারা করত না।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, বোমা বানাতে গিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রকমতুল্লা নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায়পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জেনেছি। তবে সে মারা গেছে কিনা এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।তবে পুলিশ তাদেও গ্রেফতার না কওে কেন হাসপাতালে পাঠাল তার ব্যাপাওে কোন জবাব দিতে পারেন নাই।