“জেলেদের জিবন মান উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার”
৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
দ্বীপ জেলা ভোলার চাঁরটি আসনের মধ্যে, ভোলা-১ আসনটি খুবই গুরুত্বর্পুণ।
এই আসন থেকে র্নিবাচন করতে চান, ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি, মোঃ হেমায়েত উদ্দিন।
বাংলাদেশ আ.লীগের মনোনয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চান ভোলা-১ আসনের আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক ও ভোলা জেলা আ.লীগের সদস্য মোঃ হেমায়েত উদ্দিন।
বিগত দিনে এই আসন থেকে র্নিবাচিত হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রেখেছেন, আ.লীগ থেকে তোফায়েল আহমেদ, বিএনপি থেকে মরহুম মোশাররফ হোসেন সাহজাহান, জাতীয় র্পাটি থেকে মরহুম নাজিউর রহমান মঞ্জু ও পরে তার ছেলে আন্দালিব রহমান র্পাথ বিএনপি জোটের প্রার্থি হিসেবে নির্বাচিত হন।
ভোটের ও জোটের রাজনীতিতে ভোলা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন আ.লীগের তোফায়েল আহমেদ, বিএনপির মোশাররফ হোসেন সাহজাহান।
ভোলা-১ আসনের আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হেমায়েত উদ্দিন উপরোক্ত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভোলা সদর আসন থেকে বিগত দিনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা তাদের নিজেদের ও তাদের আত্বিয়দের উন্নতি ছাড়া তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেননি।
আ.লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রী হয়েছেন ঠিকিই কিন্তু তরুন প্রজন্মের জন্য সৃষ্টি করেননি নতুন কোন কমর্সংস্থানের। অবহেলিত হয়েছেন ভোলার আ.লীগ ও অংগ-সংগঠনের, বঙ্গবন্ধুর আদশের নেতা কর্মীরা, তোফায়েল আহমেদের বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ করায়, ও তার স্বজনপ্রীতির সমালোচনা করায়, আ.লীগের আন্দোলন সংগ্রামের লাড়ুক সৈনিকরা অনেকেই আজ জেল-জুলুমের স্বীকার।
আ.লীগকে তিনি আত্বীয়লীগে পরিণত করেছেন।
আ.লীগ ও এর সকল অংগ সংগঠনে তার অনুসারী ও আত্বীয়দের পদ পদবী দিয়ে সংগঠনকে দূবল করেছেন। বঞ্চিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদশের আ.লীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা ।
জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ভোলা-১ আসন থেকে মনোনয়ন দিলে, আমি আ.লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করে, ডিজিটাল ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।
ভোলাকে নিয়ে আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, আমি সুযোগ পেলে ভোলার নদী ভাঙ্গন রোধে নদী খনন করে স্রোতের গতি পরিবর্তন করে সিসি ব্লোকের স্থায়িত্ব বাড়াবো। যাতে ভোলার মানুষ নদী ভাঙ্গনের আতঙ্ক থেকে মুক্ত থাকে। নদী মাতৃক ভোলা সদরের অথর্নীতির মুল চালিকা শক্তি নদী থেকে মাছ আহরণ ও কৃষি, কিন্তু সেই জেলে ও কৃষকরাই সবথেকে বেশি অবহেলিত এখানে। জেলেরা স্বাধীন ভাবে মাছ শিকার করতে পারেনা , জলদস্যু ও দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে। আমি তাদের জিবন–মান উন্নয়নে ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থা করবো। এবং নদীতে যাতে নির্বিগ্নে মাছ শিকার করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো।
আমার আরো পরিকল্পনা আছে, উত্তর ভোলার কৃষকদের জন্য সরকারীভাবে একটি হিমাগার(কোল্ড স্টোরেজ) করবো। ভোলাকে ইকোনোমিক জোন হিসেবে নেয়া বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ,একটি আধুনিক শিল্পো নগরী করবো। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে আঞ্চলিক মহাসড়কের সম্প্রসারণ সহ গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করবো। তিনি তার রাজনৈতিক জিবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমার বাবা মরহুম মমতাজ উদ্দিন ছিলেন আমার জন্মস্থান ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আ.লীগ পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রতি গভীর ভালোবাসা জন্ম নেয়, সেই ভালোবাসা থেকেই, ছাত্রজীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। ভোলা জিলা স্কুল থেকে ১৯৮৮ সালে মানবিক বিভাগ থেকে SSC তে প্রথমশ্রেনী পেয়ে উত্তিন্ন হই। ১৯৯০ সালে ভোলা সরকারী কলেজ থেকে HSC তে মানবিক বিভাগে প্রথমশ্রেনী পেয়ে উত্তিন্ন হই। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে গ্রাজুয়েশন শেষ করি।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো আমার। ছাত্রলীগের রাজনীতি করায় ১৯৯৪ সালে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয় আমার বিরুদ্ধে, দুইবছর পালাতক থেকে ১৯৯৬ সালে কারাবরণ করি। পরবর্তিতে আ.লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলে কারাগার থেকে মুক্ত হই। তিনি আরো বলেন ২০০১ সালের বিএনপি –জামায়াত সরকারের পুলিশের নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে এখনো বয়ে বেড়াই। ২০০৪ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে ডাকা দুই দিনের হরতালে পুলিশ আমার পায়ের আঙ্গুল বন্দুকের নল দিয়ে খুচিয়ে বাদ করে দেয়। তার চিহ্ন দেখান তিনি। তিনি বলেন আমি আশা করি, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মত তরুণদের সুযোগ করে দিবেন আগামী দিনে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে।