৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ন্যায়সঙ্গত গণআন্দোলনের বিজয় অনিবার্য। তিনি বলেন, আমরা বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা-কর্মী ও সকল গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। ন্যায়সঙ্গত গণআন্দোলনের বিজয় অনিবার্য ইনশাআল্লাহ।
জোটের ক্ষমতারোহণের জন্য নয়, বরং আওয়ামী একনায়কতান্ত্রিকতা ও স্বৈরতান্ত্রিকতা থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্যই জনগণের এই আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। রোববার দলের পক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মী ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সালাহ উদ্দিন বলেন, অবশেষে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করলেন, ঢাকা বাইরের সারা দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। অন্তত এটি তার রাবিশ বক্তব্য নয় বলে মনে করি। সরকারকে আহ্বান জানাই, সময় থাকতে পতনের পদধ্বনি শুনুন, দ্রুত পদত্যাগ করে ‘দেশ বাঁচান, মানুষ বাঁচান।’
তিনি আরো বলেন, এফবিসিসিআই-এর দলবাজ সভাপতির কারণে ব্যবসায়ী সমাজের বক্তব্য সরকারের কর্ণকূহরে প্রবেশ করছে না। সরকার প্রধানের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই চলমান রাজনৈতিক সংকট ও অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। অতএব, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের পরামর্শ প্রদান করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যবসাবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং গণহারে পাশ করিয়ে দিয়ে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাকে নিলামে উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বেচারা শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের জন্য মায়াকান্না করছেন। ১৯৯৫-৯৬ সালের আওয়ামী নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের কারণে এসএসসি পরীক্ষা তিন মাস পেছাতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার।
দেশের সব পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজসহ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার আহ্বান জানান তিনি।
সালাহ উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হুকুমে সারা দেশে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের মহোৎসব করছে দলবাজ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। প্রতিবাদী মিছিলে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। খুন, গুম, অপহরণ, হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে রাজপথের অসীম সাহসী আন্দোলনকারী সাথীরা। গণগ্রেফতারের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত অসংখ্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও নিরীহ জনগণ। জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতাকর্মী, যারা এ জাতীয় হত্যাকাণ্ডের ও বন্দুকবাজির শিকার হচ্ছেন তার প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অঘোষিতভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘসহ সব বিশ্বসংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ জানানো সত্বেও অবৈধ আওয়ামী সরকারের টনক নড়ছে না।