৫২ রাজনীতি।।
ভোলা ১ আসনে পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ভোলা সদর আসনের নির্যাতিত অবহেলিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের ভালোবাসায় আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হয়ে ভোলা সদর আসনে পরিবর্তনের রাজনীতির সূচনা করতে চান রাজপথের পরিক্ষিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সহ সম্পাদক, ভোলার হেমায়েত উদ্দিন।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত দিনে ভোলা সদর আসনে কোন জাদরেল আ.লীগ নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা প্রকাশ করলেই তার উপর নেমে আসতো অত্যাচার নির্যাতন। আর সেই নতুন মুখকে যারা সমর্থন করতেন সেই আ.লীগের তৃণ্যমুলের কর্মীরা থাকতেন অবহেলিত। কখনো সম্মুখে বা কখনো পর্দার আড়াঁলে থেকে এসবের কলকাঠি নাড়তেন বর্তমান বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
যার ফলে তোফায়েল আহমেদের অবর্তমানে ভোলা সদর আসনে অন্যান্য দলের প্রর্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার মতো বাংলাদেশ আ.লীগের জনপ্রিয় নতুন নেতৃত্বের সংকট ছিলো। সেই সংকটের স্থানটি পুর্ণ করতে এগিয়ে আসলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সহ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন। তিনি বলেন, গত—– কাউন্সিলে ভোলা জেলা আ.লীগের সদস্য হয়ে তৃণ্যমুলের আ.লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তৃণ্যমুলের আ.লীগের নেতা কর্মীরা তরুণ নেতা হেমায়েতকে পেয়ে আগামী দিনে সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হওয়ার জন্য বলতে থাকেন। তৃণ্যমুলের নেতা কর্মীদের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বপ্ন দেখতে থাকেন হেমায়েত উদ্দিন।
হেমায়েত উদ্দিন বলেন মাদার অফ হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনা সুযোগদিলে আমি ভোলা ১ আসন থেকে নির্বাচন করবো, ভোলার অবহেলীত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও জননেত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মিদের হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনবো। তাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্ত করতে আমি বদ্ধপরিকর।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বর্তমান বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে ২৪ বছর বয়সে এক জনসভায় সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই তার রাজনৈতিক জিবনের শুভ সূচনা হয়। কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শকে ধারণ না করে, ভোলা জেলা আ.লীগকে আত্বিয় করণ ছাড়া তেমন কিছুই করেননি।
বরং যারা আ.লীগের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে নিজেদের মেধা ও সততা দিয়ে আ.লীগে নিজের অবস্থান তৈরি করে ভোলা আ.লীগে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়ে ছিলেন বিগত দিনে তোফায়েল আহমেদ এক অজানা আতংকে তাদের কে বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রধান করে আসছেন।
বর্তমানেও তিনি আমার সমর্থকদের লাগানো ব্যানার ফেস্টুন তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনি দিয়ে ছিড়ে ফেলছেন। আমরা তার মত একজন প্রবিণ আ.লীগ নেতার কাছথেকে এরকম আগ্রাসী মনোভাব আসা করিনা।
ভোলা ১ আসনের সর্বস্তরের জনগণের উদ্দেশ্যে হেমায়েত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে নৌকা প্রতিক নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে আসবো। আপনারা আমাকে সুযোগ দিলে আমি আপনাদের সন্তানের মতো হয়ে আপনাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো, জেলেদের নিরাপত্তা ও ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা চালু করে তাদের জিবন মান উন্নয়নে কাজ করবো। ভোলা হবে সিঙ্গাপুর এ কথা বলে মুখে ফেঁনা না তুলে সুযোগ পেলে ভোলাকে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন নগরীতে পরিণত করবো ইন্সাআল্লাহ।