বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে সব ব্যয় বহন করবে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি।
সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সঙ্গে সফররত সৌদি প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার বেলা ১১টায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. আহমেদ আল ফাহইদ সংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা জানান।
বৈঠকে অভিবাসন ব্যয় কমাতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব। এছাড়া শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন ১২০০ রিয়ালের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। আর প্রতিমাসে ১০ হাজার শ্রমিক নেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ জানান, পাসপোর্ট, রিক্রুটিং এজেন্সির ফি এবং ঢাকায় আসতে-যেতে হাত খরচা বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আর সৌদি আরবে যাওয়া-আসার বিমান ভাড়া, মেডিকেল টেস্ট বাবদ যাবতীয় খরচ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান বহন করবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের কর্মী নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সৌদি সরকার। আর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রস্তাব এবং পুনরায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী আনার ব্যাপারে গত ১৮ জানুয়ারি সৌদি শ্রমমন্ত্রী ডক্টর আদেল ফাকিহ এবং ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স (বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স) মুকরিন বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বৈঠকে সৌদি মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পুনরায় কর্মী আনার আশ্বাস দেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীকে।
আব্দুল আজিজের আশ্বাস অনুযায়ী কয়েকদিন আগে দেশটির রয়েল কোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশ থেকে ফের কর্মী আনার অনুমোদন দেন এবং বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি সরকারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলেও জানানো হয়।