৫২ বিনোদন ডেস্ক।।
অস্ট্রেলিয়ান টেলিভিশন শো ‘নেইবারস’-এর সাবেক তারকা কেইটলিন স্টেসি। তার বেশ কিছু নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়লো ইন্টারনেটে। ছবিতে তার কোনো মেকআপ ছিল না। এমনকি ফটোশপে কোনো কারুকাজ করা হয়নি। সবাই বুঝতে পারলেন, এই সেলিব্রিটির ছবিগুলো হ্যাকড হয়েছে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল আইক্লাইড হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু ঘটনা আসলে ভিন্ন। তিনি ইচ্ছে করেই নিজের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, কেইটলিন একটি প্রজেক্ট চালু করেছেন যার নাম ‘হারসেলফ ডট কম’। সেখানে বিভিন্ন গোত্র, বর্ণ এবং জাতির নারীরা তাদের নগ্ন ছবি প্রকাশ করবেন।২৫ বছর বয়সী এই সেলিব্রিটি একটু ভিন্ন ধরনের নারী। তিনি নারীর কুমারীত্ব, প্রসাধনে পূর্ণ সৌন্দর্য ইত্যাদি নিয়ে ভিন্ন ধারণা পোষণ করেন। নারীদের পণ্য নয়, তাদের সহজাত ও প্রাকৃতিক চেহারাটাই দেখাতে তিনি আগ্রহী।
ভিন্ন ধাঁচের নারীবাদী চরিত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে তাকে। তিনি ‘নিপল ক্যাম্পেইন’-এর সমর্থক। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, নারীরা রাস্তা-ঘাটে টপলেস হয়ে চলতে পারবে। এর সমর্থনে তিনি নিজের অর্ধনগ্ন একটি ছবিও টুইটারে প্রকাশ করেছেন।এ কাজে তিনি সেলিব্রিটি জেনিফার লরেন্সের চুরি যাওয়া নগ্ন ছবিও প্রকাশ করেছেন। এ জন্য সেলিব্রিটি ব্লগার পেরেজ হিলটন তাকে খোলামেলাভাবেই একচোট নিয়েছেন। কিন্তু বহু মানুষের চোখে কেইটলিন এমন এক নারী যিনি তার চিন্তা-ভাবনা নিয়ে পুরোপুরি সৎ এবং খোলামেলা। সেখানে কোনো মেকি বিষয় নেই, তাই হতে পারেন কিছুটা কাটখোট্টা।
তার পরিচালিত ‘হারসেলফ ডট কম’-এর মাধ্যমে নারীদের মেকআপবিহীন বিশাল আকারের ছবির আইডিয়া একেবারেই নতুন। ফটোশপ ব্যবহার না করাটা তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং এসব ছবিতে নারীদের যৌন আবেদনময়ী কোনো পোজও থাকে না।নানা সমালোচনা থাকলেও স্টেসি তার কাজে অনড়। তার কাছে নারীদের এসব মেকআপবিহীন ও সাধারণ ছবিগুলো বিস্ময়করভাবে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। তিনি মুগ্ধ হয়ে এই ছবিগুলো দেখেন। তিনি নিজের নগ্ন ছবির জন্যেও লজ্জিত নন। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে নারীদের মাঝে তাদের নগ্ন দেহের বিষয়ে এক ভিন্ন ধারণা গড়ে উঠবে বলেই মনে করেন তিনি।
ওই ওয়েবসাইটে স্রেফ নগ্ন নারীদের ছবি দেওয়া হয় তা নয়, সেখানে স্টেসি যৌনতা, সন্তান ধারণ, অ্যাবরশন, ধর্ম, মাস্টারবেশন, যৌন নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়েও নিজের মতাতম তুলে ধরেছেন।নিজের নগ্ন ছবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার নগ্ন দেহের আসল চেহারা দেখিয়েছি। কাজেই এখন থেকে আমার আইক্লাউড হ্যাকিংয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। গাড়ি থেকে নামার সময় আমার স্কার্টের নিচ দিয়ে কিছু দেখা যায় কিনা, তা নিয়ে অস্থির থাকার প্রয়োজন নেই কোনো পুরুষের। আমার সবকিছুই সৎ এবং খোলামেলা।