বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. ইসরাঈল হোসেন স্বাস্থ্যবিভাগের সিলেট বিভাগীয় সাবেক পরিচালক ডা. ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও সাবেক সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল মুমিন চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইতোপূর্বে ওই মামলায় তাদের দু’জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩এপ্রিল সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্যবিভাগের ১২০ জন তৃতীয় ও চতুর্ত শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম ও নিয়োগ পরিক্ষার খাতায় ঘষামাজা করে মোটা অঙ্কের দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন সদস্য সচিব মালেক হুসেন পীর।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি আদলতে প্রমাণিত হলে ১২০ জনের নিয়োগ বালিত এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যবিভাগের ছায় কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিচ্যুত হন। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে স্পেশাল জজ আদলতে মামলা করে। গত বছরের শেষ দিকে সুনামগঞ্জের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. হারিছ উদ্দিন, সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সহকারী বিভাগীয় পরিচালক ডা. আব্দুল মুমিন চৌধুরী, সহকারী বিভাগীয় পরিচালক হালিম মিয়া, সুনামগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল আলম ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বুধবার ওই মামলায় হাজিরা দিতে আসলে স্বাস্থ্যবিভাগের দুই সাবেক বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জেল হাজতে পাঠানোর দির্দেশ দেয় আদালত। মামলার বাকি চার আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আইনুল ইসলাম বাবলু ও অ্যাডভোকেট পরিতোষ চন্দ্র রায়।