নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনে জি ডিড নামের এক মার্কিন নাগরিক লিখেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে প্রভাবিত করেছে। তার এই বাণী সময়োপযোগী ও সুমিষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেছেন, টুইটারে এই বাণী পড়ার সময় আমার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়েছে অশ্রু। কারণ আমি অনুভব করেছি যে, এটা ছিল খুবই সুন্দর ও হৃদয়ে গভীর থেকে উঠে আসা আন্তরিক বাণী। বিশ্বের যুব সমাজের কাছে সময়োপযোগী এই চ্যালেঞ্জ তুলে ধরার জন্য আমি আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর কাছে কৃতজ্ঞ।’
গত ২১ বিশ্বের সংবাদ ও গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয় পশ্চিমা যুব সমাজের কাছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঐতিহাসিক বাণী। অনন্য এই বাণী বিশ্বব্যাপী যুক্তিবাদী ও চিন্তাশীল মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
প্যারিসে শার্লি এবদো নামের একটি রম্য-পত্রিকার অফিসে রহস্যজনক হামলার অজুহাতে ওই পত্রিকায় মহানবী (সা.)-এর প্রতি একটি অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের পটভূমিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই বাণী পাঠান।
মার্কিন ম্যাগাজিন ‘উইক’ পশ্চিমা যুব সমাজের কাছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বাণী পাঠানোর সাম্প্রতিক ঘটনাকে বিচক্ষণ উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসা করেছে।
এই বাণীর সময়োপযোগিতার প্রশংসা করে উইক লিখেছে, ইরানের নেতা খুব ভালোভাবেই সঠিক সময়টি বেছে নিতে পেরেছেন। প্যারিসের হামলার ঘটনার পরই যে এ ধরনের একটি বাণী দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল তা তিনি ঠিকই বুঝতে পেরেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, ইরানের নেতা বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের ব্যাপারে খুব উচ্চমাত্রায় সচেতন।
পশ্চিমা প্রচার মাধ্যমগুলো ও ইহুদিবাদীদের নিয়ন্ত্রিত সংবাদ এবং প্রচারযন্ত্রগুলো ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই ঐতিহাসিক বাণীকে নিজেদের ইচ্ছেমত কাটছাঁট করে বা কম গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা এই ঐতিহাসিক বাণীর ব্যাপক প্রচার রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই বাণী প্রকাশিত হওয়ার পর মাত্র এক সপ্তাহ’র মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তা এক কোটি ষাট লাখবার শেয়ার হয়েছে।