৫২ মফস্বল ডেস্ক।।
বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে শিবির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শিবিরকর্মীরা ককটেল ফাটিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ।
রোববার ২০দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ধুনটমোড়, হামছায়াপুর ও কাঠালতলা এলাকায় এ সব ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে রানা আহম্মেদ (২০) নামে এক শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া চকপোতা গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে।
পরে গুলিবিদ্ধ রানাসহ আরও দুই জামায়াতকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
অন্য আটকরা হলেন- উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শুকুর আলী (৩০) ও একইগ্রামের মৃত রোস্তম আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল থেকেই ২০ দলের ডাকা ৭২ ঘণ্টার হরতালে শিবির নেতাকর্মীরা ওইসব স্থানে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করতে থাকে। এমনকি বেলা ৯টার দিকে শিবিরকর্মীরা হামছায়াপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।
প্রথমে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং পুলিশকে ধাওয়া দিলে আবারও দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এভাবে বেশ কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।
একপর্যায়ে শিবিরকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পুলিশ পিছু হটলে এইসব স্থানে ৮-১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শিবিরকর্মীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে এক শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতার অভিযোগে গুলিবিদ্ধ রানাসহ আরও দুই জামায়াতকর্মীকে আটক করে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ হাশমী বাংলামেইলকে জানান, জামায়াত-শিবিরকর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চোরা গোপ্তাভাবে দুই তিনটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। একইসঙ্গে নাশকতার কাজে জড়িত এক শিবিরকর্মী ও দুই জামায়াত কর্মীকে আটক করা হয়েছে।