৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী। তাদের সাথে আলোচনা করলে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়া হবে। তিনি মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো হীন জঘন্য কাজ যারা করছে তাদের রুখে দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। রোববার সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর কার্যপ্রণালী বিধির ৬৮ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে আনিত নোটিশের ওপর দেয়া বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বিপন্ন হতে দিতে পারি না। তাদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। সে কথা বিবেচনা করেই আমরা পরীক্ষা এমন সময়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। স্বস্তির সাথে নিরাপদে যাতে তারা পরীক্ষা দিতে পারে।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্য যে, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি দল এবং তার সাথে আরো কয়েকটি দল এক সাথে হয়ে প্রতিনিয়ত হরতাল-অবরোধের নামে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে। মানুষ হত্যার সময় তারা নারী-শিশু কাকে হত্যা করছে, এই বিষয়টি বিবেচনা করছে না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের তারা হত্যা করছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাদের হাতে মারা যাচ্ছে, পুড়ে অঙ্গার হচ্ছে, যন্ত্রণা ভোগ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী নিজেকে নিজে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তারা বলছে, তাদের নাকি রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে দেয়া হয় না। ১৪ তারিখে তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিবাদ মিছিলের। তাদের বাধা দেয়া হয়নি। কিন্তু কেউ রাস্তায় নামেনি। কিছু দরদী বলছেন, তার অফিসে নাকি খাবার যাচ্ছে না। অফিসে খাবার যাবে কেন? অফিস শেষে বাড়ি যাবে, বাড়িতে বসে খাবার-দাবার খাবে।
তিনি বলেন, যেখানে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, সেখানে কিভাবে আমরা আমাদের সন্তানদেরকে পরীক্ষা দিতে পাঠাব। তাদের জীবনের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই হরতাল-অবরোধের সাথে সাথে একটি নিরাপদ সময়ে পরীক্ষা পিছিয়ে পিছিয়ে নেয়া হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী এবং জামায়াত জোট তারা আসলে সুস্থ অবস্থায় নেই, তাদের মানসিক বিকৃতি ঘটেছে বলেই তারা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করছে। তাদের স্বার্থের জন্য তারা সব করতে পারে। এই ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তার কথা কোন দিনই বলবেন না। তিনি বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে তাদের সাথে আলোচনা করা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়া হবে। তিনি নিজে এবং সন্তানকে মামলা থেকে রক্ষা করতে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
নোটিশের ওপর আলোচনায় অংশ নেন- শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডা. এনামুর রহমান, আবদুর রহমান, আবদুল মান্নান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, মাহজাবীন মোরশেদ, স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ