৫২ জাতীয় ডেস্ক।।
বর্তমানে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে দাবি করে সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে গণমাধ্যম বেশি সম্প্রসারিত ও বিকশিত হয়েছে। সরকারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মহল বা ব্যক্তির মালিকানাধীন অসংখ্য পত্রিকা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।
বিরোধীমনোভাবাপন্ন পত্রপত্রিকার প্রকাশ ও প্রচার অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবস পত্রিকা প্রকাশে সরকার কখনো কোনো বাধা দেয়নি বা হস্তক্ষেপ করেনি। সংবাদপত্র বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইনও এ মুহূর্তে দেশে নেই।
সরকারবিরোধী অবস্থান বা মতামতের জন্য কোনো সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার-নির্যাতন দূরের কথা কাউকে কখনো হয়রানির শিকারও হতে হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
আজ রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স-২০১৪-এর বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এ বক্তব্য জানানো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ফরাসি ‘রিপোটার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স’ প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স-২০১৪-এর প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যেভাবে দেখানো হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এটি সম্পূর্ণ বাস্তবতাবির্বজিত, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও কল্পনাপ্রসূত।’
সংগঠনটি বলেছে, ২০১৪ সালে এর আগের বছরের চেয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে। বিশ্বের ১৮০টি দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় এই সূচকে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই দেশগুলোর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ দেশে আগের বছরের তুলনায় ২০১৪ সালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অবস্থা খারাপ হয়েছে।
সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬। বাংলাদেশের স্কোর ৪২.৯৫। সূচক অনুসারে, আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অবস্থার দৃশ্যত কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে যেখানে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিকসহ মোট ৬০০ পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতো, সেখানে এখন এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি। দেশে এখন ২৬টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সম্প্রচারিত হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে সরকারি টেলিভিশনের সংখ্যা মাত্র তিনটি। বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সম্প্রচার হচ্ছে ১১টি এফএম রেডিও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হিসেবে ৩২টি কমিউনিটি রেডিওকে সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছে, যার মধ্যে ১৪টির পূর্ণ সম্প্রচার চলছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার দেশ নামের পত্রিকাটি মালিকানা ও ছাপাখানাবিষয়ক মিথ্যা তথ্য প্রদান-সংক্রান্ত জটিলতায় তাদের প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ রেখেছে। কিন্তু অনলাইন সংস্করণ চালু রয়েছে। একই পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সরাসরি নাশকতার উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে’ বিচারাধীন রয়েছেন।