নীল রঙের চকচকে এক বরফখণ্ড আয়েশে শুয়ে আছে প্রান্তরের ওপর! ঝকঝকে পলিশ করা এ বরফখণ্ডটির গায়ে কোনো ধ্বংসাবশেষ বা বিচূর্ণ টুকরো লেগে নেই। বরং সে প্রতিনিধিত্ব করছে তার একচ্ছত্র সৌন্দর্যের।
তবে জানা যায়, শীতল পানির ভারসাম্যের ব্যতিক্রম হলে নাকি এমন ভিন্নমাত্রার বরফখণ্ড দেখা যায়।
অ্যালেক্স বলেন, বরফখণ্ডগুলো হয় সাদা রঙের। নীলাভ ভাব থাকলেও সে নীল হয় পানির রঙের কাছাকাছি। তবে এই বরফখণ্ডটি পুরোটাই ব্যতিক্রম। অনেকটা মহাশূন্যের কোনো ধাতব পদার্থ বা মানব তৈরি কাচের পদার্থের মতো।
তিনি আরও বলেন, অ্যান্টার্কটিকা হচ্ছে এমন একটি জায়গা এখানে আপনি যেদিকেই ক্যামেরা তাক করেন না কেন অসম্ভব সৌন্দর্যের কিছু না কিছু খুঁজে পাবেনই।
ক্যানন ৫ডি মার্ক টু এবং ১৬-৩৫ মিলিমিটার ২.৮ লেনস দিয়ে কর্নেল এই বরফখণ্ড ও এর আশপাশের নানান ছবি তুলেছেন। কাচের তো স্বচ্ছ ও চকচকে এই প্রকাণ্ড আইসবার্গের বয়স অনেক হবে বলে জানান সানফ্রান্সিসকোর এই ফটোগ্রাফার।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটির বয়স দশ হাজার থেকে শুরু করে হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে।
অ্যালেক্স কর্নেল যখন ড্র্যাক প্যাসেজের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন এই ছবিটি তোলা। প্যাসেজটি দক্ষিণ আমেরিকার কেপ হর্ন ও অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ শেটল্যান্ড দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত।
লবণাক্ত পানির ঘনত্ব স্বাদু পানির চেয়ে অনেক বেশি বলে তা সহজেই বরফকে পানির ওপর ভাসিয়ে রাখে। কিন্তু যখন তারা গলে যায় তখন তাদের ওজন বিন্যাসের ফলে অন্যান্য বরফখণ্ডগুলো দ্রুত পানির ওপর ভেসে ওঠে। তবে এভাবে বরফের হঠাৎ ভেসে ওঠা কখনো কখনো সুনামির জন্ম দেয় যা চলতি জাহাজের ক্ষতি করে।
এসব বরফের ভেতরের রং সবুজ ও নীল উভয়ই হতে পারে। আজীবনই তারা এ রং ধরে রাখে।
তুষারবিজ্ঞানী হাগ কোর ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভেতে বলেছেন, এমন আশ্চর্যজনক বরফখণ্ড সচরাচর দেখা যায় না। তবে এই বরফখণ্ডের আকার নিশ্চিত জানা যায়নি।
কোর জানান, এটি আট মাইল লম্বা বরফখণ্ডের তুলনায় ছোটই বটে।