বাংলাদেশের চট্রগ্রাম মহানগরীতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যুর পর লালখান বাজার ও বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আফজাল হোসেন। উচ্ছেদকারী কর্মকর্তারা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাদের একটি স্কুলে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওদিকে, পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী মঈনুদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে বায়োজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে মঈনুদ্দিনকে এবং নগরের মুরাদপুরের ফরেস্ট গেট এলাকা থেকে তার দুই ভাই সাইফুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদিনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে চট্টগ্রামের লালখান বাজার ও বায়েজিদ থানা এলাকায় পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে বায়েজিদের ট্যাংকির পাহাড়ে এক পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, “অভিযুক্তরা ওই পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।” এর আগে ২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রামে টানা বর্ষণের ফলে পাহাড় ও দেয়াল ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু ঘটে। তারপর প্রতিবছরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারীদের ব্যপারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ বছরও বর্ষার শুরুতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কিন্তু রোজার সময় মানবিক বিবেচনায় উচ্ছেদ কাজটি সম্পূর্ণ করা হয়নি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.