বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে সমস্যা সমাধানের উপায় দাগানো
সংবিধান সংস্কার
বিএনপি সরকারী সংবিধান এবং নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ বিভাগের সংস্কার প্রস্তাবকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। দ্বিকক্ষী সংসদের মতো বিষয়ের উপর দলটি জোর দিচ্ছে যেখানে একজন ব্যক্তি দুইটি মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। দলটি প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনার প্রস্তাবও দিচ্ছে। এই প্রস্তাবগুলি শিগগিরই প্রফেসর আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনে জমা দেওয়া হবে।
প্রস্তাবের ভিত্তি
একটি সূত্রের খবর, বিএনপি তাদের ৩১-দফা সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্র ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংস্কার করার প্রস্তাবগুলি চূড়ান্ত করছে। এই প্রস্তাবে দ্বিকক্ষী সংসদ, সীমিত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রিত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল এবং প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনার প্রতিশ্রুতিগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অন্যান্য সংস্কার কমিটি
সংবিধান সংস্কার ছাড়াও, বিএনপি সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করেছে। পুলিশ সংস্কার কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন দলের নেতৃত্বের কাছে জমা দিয়েছে। সংবিধান ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রস্তাব জমা দেওয়া
বিএনপি সংস্কার কমিটিগুলোর তৈরি করা প্রতিবেদনগুলি সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনে জমা দেওয়া হবে। বিএনপি তাদের প্রস্তাবগুলির পক্ষে জনমত তৈরি করছে এবং সারা দেশে কর্মসূচি পালন করছে।
সরকারের সাথে সংলাপ
সরকারের সূত্রগুলি বলেছে যে, সংস্কার কমিশনগুলির প্রতিবেদন পাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলির সাথে সংলাপ করতে পারেন।