বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাসির আহমেদ জানান, মির্জা ফখরুল অসুস্থবোধ করায় কারা চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন এবং তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে কারাগারের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকার বিএসএমএমইউতে পাঠানো হয়।
কারা চিকিৎসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মির্জা ফখরুলের ইন্টারনাল করোটিড আর্টারি (মাথায়) ব্লক রয়েছে। এ ছাড়া পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছেন তিনি। তাঁকে ভাস্কুলার সার্জন, নিউরোলজিস্ট, গ্যাস্ট্রো এন্টেরোলজিস্ট ও কার্ডিওলজিস্ট দেখানো দরকার।
তিনি আরও বলেন, প্রায় দুই মাস আগে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু তখন একসঙ্গে সব চিকিৎসককে দেখানো সম্ভব হননি। তিনি সেখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে চান।
ময়লার গাড়ি পোড়ানোসহ ৭৬ মামলার আসামি হয়ে প্রায় চার মাস ধরে গাজীপুরস্থ কাশিমপুর কারাগার-২-এ অন্তরীণ আছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে নেয়া হয় কয়েক দফা রিমান্ডেও। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আইবিএস, হার্টের সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। গত রোববার কাশিমপুর কারাগারে ফখরুলের সঙ্গে দেখা করেন তার স্ত্রী রাহাত আরা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুল দু’দফায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। গলায় ব্যথা অনুভব করায় গত বছর সিঙ্গাপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষার পর তার গলায় ব্লক ধরা পড়ে। কয়েকদিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। নিয়মিত পরীক্ষা করাতে আবারও সিঙ্গাপুর যেতে পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকায় তিনি সিঙ্গাপুরে যেতে সময় পাননি। এরই মধ্যে আবারও গ্রেফতার হন ফখরুল। এর আগে কাশিমপুর থেকে তাকে দু’বার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়।
গত ৪ জানুয়ারি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পল্টন থানায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। এর পর ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আগের দিন থেকে সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.