, ২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
বিকাল ৫:২৯,TV



মোদীর ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন ঢাকা সফরে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি জানান, আপাতত তিস্তা চুক্তি নিয়ে এবার আলোচনা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে, তিস্তা চুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এ নিয়ে আলোচনা চলছে।

শুক্রবার সকালে নিজ দপ্তরে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ট্রানজিটের জন্য মাশুল নির্ধারণের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পণ্য ও সেবার জন্য ওই মাশুল ধরা হবে। এর হার কি হবে, এটা পরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের পুরনো বন্ধু ও নিকটতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশের দুর্দিনে ভারত বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। নরেন্দ্র মোদির সফরে ঢাকা-নয়াদিল্লির সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার কথা রেখেছেন। এটা সবচেয়ে বড় পাওয়া। নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য ঢাকা প্রস্তুত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি আসার পর স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে দুই দেশ একটি সম্মতিপত্রে অনুস্বাক্ষর করবে। এর পর ছিটমহল বিনিময় শীঘ্রই শুরু হবে। এ বিষয়ে দুই দেশই দুই দেশকে তালিকা দেবে। এর পর দুই দেশের কমিটি মিলে মাঠপর্যায়ে কাজ করবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে আন্তঃ দেশীয় সংযোগ বাড়ানোই হবে প্রধান উপজীব্য বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 ৬ জুন শনিবার ৩৬ ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্থলসীমান্ত নির্ধারণ চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল বিনিময় হবে। এর মধ্য দিয়েই স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এছাড়াও বেশ কয়েকটি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকল, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি, সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি। দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর মধ্য দিয়েই ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে আশা করছে দুই দেশ।

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ