আজি ১০ ডিসেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। এ দিনে ১৯৮৭ সালে গণতন্ত্রের জন্য তাঁর প্রাণ দেওয়ার স্মৃতি রক্ষা করা হয়।
প্রায় তিন যুগ আগে, নূর হোসেন তৎকালীন স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন, যারা আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠন।
বুক ও পিঠে "স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক" স্লোগান লিখে তিনি রাজপথে বেরিয়েছিলেন। পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর আত্মদান দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছিল।
নূর হোসেনের আত্মদানের তিন দশক পর, আরেকজন গণতান্ত্রিক কর্মী, আবু সাঈদ, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
১৬ জুলাই, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করার সময় পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর মৃত্যু দেশে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয় এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।
আজ শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না। আমাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সাম্যের জন্য কাজ করতে হবে।
ঢাকার নারিন্দায় একটি অটোরিকশাচালকের ঘরে জন্ম নেওয়া নূর হোসেনের মৃত্যু একটি করুণ ঘটনা। তিনি ছিলেন একজন সাহসী যুবক যিনি তাঁর বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের সকলের কাছে একটি অনুপ্রেরণা।
আজ, জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের একটি মিছিলের আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপিও এ দিনটি "ঐতিহাসিক ১০ নভেম্বর দিবস" হিসেবে পালন করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও জিরো পয়েন্টে একটি গণজমায়েতের আয়োজন করেছে। কর্মসূচির শিরোনাম "পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করি"।
গণতন্ত্রের জন্য শহীদ নূর হোসেন ও আবু সাঈদের আত্মদান আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না। আমাদের সব সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সাম্যের জন্য কাজ করতে হবে।